শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: অ্যামস্টারডামে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এক সভা শেষে ইইউ পররাষ্ট্রনীতির প্রধান ফেডেরিকা মগেরিনি বলছেন তুরস্ক যদি শরণার্থীদের আশ্রয় না দেয় আন্তর্জাতিক আইনে সেটা হবে ভুল সিদ্ধান্ত।
তাই ইউরোপিয়ান নেতারা তুরস্কের সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে তারা যেন তুর্কী সীমান্তে আটকে পড়া সিরিয় শরণার্থীদের গ্রহণ করে। এটা একটা নৈতিক দায়িত্ব, আর এটা কোন আইনি দায়িত্ব না হয়ে থাকলেও প্রয়োজন অনুযায়ী শরণার্থীদের আন্তর্জাতিকভাবে সুরক্ষা দেয়া উচিত।
সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হবার পর দেশটির বিশ লাখেরও বেশী শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক, কিন্তু আরো শরণার্থীকে তারা এখন আশ্রয় দেবে কিনা সেটা এখন পরিস্কার নয়। নতুন করে যে শরণার্থীদের ঢল নেমেছে, তাদের আশ্রয় দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিক থেকেও চাপের মুখে আছে তুরস্ক।
সিরিয়া থেকে আসা সিরিয়ানদের যে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন তাতো প্রশ্নাতীত বিষয়। তুরস্ক যেন শরণার্থীদের ঠিকভাবে থাকতে দিতে পারে সে লক্ষ্যেই আমরা তাদের সমর্থন দিচ্ছি। গত কয়েকদিন সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে যে তীব্র লড়াই শুরু হয় তারপর থেকেই সেখান থেকে লোকজন পালাতে শুরু করে। শরণার্থীদের বোঝা সামলাতে তুরস্ক এখনই হিমসিম খাচ্ছে, এর মধ্যে নতুন করে আসা শরণার্থীদের স্রোত তুরস্কের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
আমাদের সীমান্তবর্তী ৮টি ক্যাম্প রয়েছে। এবং সেখানে নতুন শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষমতাও আমাদের আছে।তবে আমরা মনে করছি না যে, এই মুহূর্তে তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেয়ার প্রয়োজন আছে। ঐ শরণার্থীদের জন্য আশ্রয় এবং পর্যাপ্ত খাদ্য দেয়া হচ্ছে।তাই তাদেরকে তুরষ্কের ভূখন্ডে প্রবেশ করতে দেয়ার প্রয়োজন নেই।
গত ৪৮ ঘন্টায় ৩৫ হাজার সিরিয়ান শরণার্থী সেখানে জড়ো হয়েছে। এরপর ইইউ নেতাদের বৈঠক শেষে তুরস্ককে সীমান্তের ফটক খুলে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে তুরস্কের এক সীমান্তবর্তী প্রদেশ কিলিসের গভর্ণর সুলেমান তপসিজ বলেছেন, এই শরণার্থীদের জন্য তুরস্ক তাদের সীমান্ত খুলবে না।