শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার স্বাস্থ্যের ‘বেশ উন্নতি’ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী উইনি-মাদিকিজেলা ম্যান্ডেলা। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দক্ষিণ আফ্রিকায় তার প্রিয় নায়ক ম্যান্ডেলার দেশে পৌঁছেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়া নামার আগে বিমানে সাংবাদিকদের ওবামা বলেন, এই মূহুর্তে, আমাদের মূল বিবেচনা তার ভাল থাকা, তার আরাম, তার পরিবারের ভাল ও নিরুদ্বেগ থাকা। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজ জাতিকে বর্ণবাদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে ম্যান্ডেলার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্র্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা জানান। তবে তার উপস্থিতি ম্যান্ডেলার চিকিৎসায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন সম্ভাবনায় ম্যান্ডেলাকে দেখতে যাচ্ছেন না তিনি। ম্যান্ডেলার সঙ্গে তার ‘ফটো সেশন’ করার কোনো দরকার নেই বলে জানিয়েছেন ওবামা।
বর্ষীয়ান এ নেতার অসুস্থতায় সারা বিশ্বের মনযোগ এখন দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। গত ছয়মাসে ম্যান্ডেলা এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়েছেন। তবে এবার ৯৪ বছর বয়সী ম্যান্ডেলা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে আছেন। এ কারণে দেশটির অধিবাসীরা মনে করতে শুরু করেছেন, তাদের প্রিয় নেতা সম্ভবত আর তাদের মাঝে ফিরে আসবেন না। বুধবার থেকেই ম্যান্ডেলাকে চিঠি, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিবাসীরা। হাসপাতালের চারদেয়াল ছেয়ে যায় ম্যান্ডেলার প্রতি শুভাকাঙ্ক্ষীদের লেখা বার্তা, ফুলের তোড়ায়। বিলবোর্ডগুলোতে লেখা হয় ম্যান্ডেলাকে নিয়ে বার্তা, পুতুলের গলাতেও ঝুলিয়ে দেওয়া হয় শ্রদ্ধার বাণী। তবে কয়েকদিন আগের তুলনায় ম্যান্ডেলার স্বাস্থ্যের অবস্থা এখন অনেক ভাল বলে জানিয়েছেন উইনি। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাও ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। এসব সত্বেও ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থা ‘স্বাস্থ্যগত বিবেচনায় খারাপ’ই আছে বলে জানিয়েছে উইনি।
রোববার ওবামা রোবেন দ্বীপ পরিদর্শনে যাবেন। বর্ণবাদী শাসকের কারাগারে কাটানো দীর্ঘ ২৭ বছরের মধ্যে ১৮ বছর ম্যান্ডেলা এই রোবেন দ্বীপেই ছিলেন। মারাত্মক ফুসফুস সংক্রমণের কারনে গত তিন সপ্তাহ যাবৎ হাসপাতালে আছেন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদের অবসানে সাদা-কালোর সহাবস্থানের প্রতীক হিসেবে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয় ম্যান্ডেলাকে।
Leave a Reply