বিশ্বের সঙ্গে টানাপড়েন কমিয়ে আনতে এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নমনীয় নীতি গ্রহণ করা হবে জানালেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি। শনিবার টেলিভিশনে দেয়া সরাসরি ভাষণে তিনি বলেছেন, পরস্পরিক শ্রদ্ধা এবং স্বার্থের প্রেক্ষিতে ইরান সমানভাবে অন্যদের সঙ্গে সংলাপ এবং আলাপ-আলোচনায় আগ্রহী।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, তেহরানের স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেই ইরান অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবে। রোহানি আঞ্চলিক দেশগুলোকেও সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যেন ইরানের ক্ষমতাকে উপেক্ষা না করেন। তিনি বলেন, বৈরী দেশগুলো এখন এজন্য মাশুল দিচ্ছে। সাবেক পরমাণু বিষয়ক মধ্যস্থতাকারী রোহানি কঠিন পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। দেশের কঠিন পরিস্থিতি বলতে তিনি হয়তো পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
নতুন মন্ত্রিসভার ব্যাপারে তিনি বলেছেন, রাজনীতির সবক্ষেত্র থেকেই তিনি মন্ত্রীদের বাছাই করছেন। রোহানি বলেন, আগামী মন্ত্রিসভা হবে ট্রান্সফ্যাকশনাল। এ সরকার বিশেষ কোন দল বা গোষ্ঠীর কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে না। সবক্ষেত্র থেকে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব দেয়া হবে। তবে এখনও তিনি এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, আগস্টের শুরুর দিকে রোহানি ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, আমাদেরকে এর মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদেরকে প্রজ্ঞা আর আস্থার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে। রোহানি বলেন, ১৪ জুন তার জয়ের মাধ্যমে পশ্চিমাদের সঙ্গে ইরানের বৈরী সম্পর্ক অবসানের ব্যাপারে আশার সঞ্চার করেছে। তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের চেয়ে সমঝোতার বেশি মনোভাব নিয়ে অগ্রসর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
Leave a Reply