গ্রামীণ ব্যাংকের সংস্কার কিংবা অবকাঠামো পরিবর্তনের বিপক্ষে মত দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। গতকাল ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মত দেন।
গভর্নর বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকে তদন্ত করে এমন কোন অনিয়ম পাওয়া যায়নি যে প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোগত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। প্রতি বছর গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করে থাকে বলেও এসময় উল্লেখ করেন তিনি। গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদে পরিচালক নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে এ বিষয়ে সরকার গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন। গত ১৬ই জুন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ বিধির খসড়া জমা দেয় কমিটি।
কমিটির সুপারিশ বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা শেয়ারধারকদের ভোটের মাধ্যমেই পর্ষদের নয়জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। বাকি তিনজন পরিচালক বরাবরের মতো সরকার মনোনয়ন দেবে। সুপারিশ অনুমোদনের ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালক নিয়োগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কমিটি সুপারিশ করেছে। কমিশনের সুপারিশ প্রসঙ্গে গর্ভনর বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু করার নেই।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের শেষ দিকে নরওয়ের একটি টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রামাণ্যচিত্রে গ্রামীণব্যাংক থেকে সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণে নোরাডের তহবিল স্থানান্তরের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। নোরাড অবশ্য বিষয়টিতে অনিয়মের কিছু পায়নি।
Leave a Reply