শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: হেলথ সেক্রেটার জেরেমি হ্যান্ট ইংল্যান্ডে এনএইচএসে সপ্তাহে ৭ দিন সার্ভিস চালুর পাশাপাশি উইকেন্ডে ভালো সেবা নিশ্চিত করার জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নতুন কন্ট্রাক্ট করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু প্রস্তাবিত কন্ট্রাক্টের সঙ্গে দ্বিতম পোষণ করে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এ নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতী পালনের পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই অর্থাৎ জুডিশিয়াল রিভিউতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
এরপরও ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সংক্ষেপে এনএইচএসে সপ্তাহে ৭ দিন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরমধ্যেই রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন সপ্তাহে ৭দিন এনএইচএস সার্ভিস দেয়ার মতো যথেষ্ট ডাক্তার নেই ইংল্যান্ডে।
রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান সংক্ষেপে আরসিপির এক সার্ভে রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর ইউকেতে মাত্র ১৩ হাজারের বেশি ফিজিশিয়ান ছিলেন। এরমধ্যে প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জন হলেন কনসালটেন্ট। কিন্তু গত বছর চাহিদা অনুযায়ী প্রতি ১০ টি পোস্টের মধ্যে ৪ টি পোস্টই ছিল খালি। অথচ একই সময়ে জুনিয়র ডাক্তারদের রোটা অনুযায়ী প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন কনসালটেন্টের ঘাটতি ছিল।
আর ওই সময় প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন কনসালটেন্ট বলেছেন, তারা রোগিদের স্বার্থে জুনিয়র ডাক্তারদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এনএইচএসের চাহিদা অনুযায়ী ডাক্তার নিয়োগে আরো বেশি ফান্ডিং করার আহ্বান জানিয়েছেন আরসিপির প্রেসিডেন্ট। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে, আগামী ২০২০ সালের ভেতরে এনএইচএসকে অতিরিক্ত ৮ বিলিয়ন পাউন্ড ফান্ডিং দেয়া হবে।
প্রফেসর জেইন ড্যাক্রা মঙ্গলবার এক ভাষণে ডাক্তার সংকটের ইস্যুটি সরকারের নীতি নির্ধারণীর আওতায় নিয়ে আসার জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন। হেরোগেইটে রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানের বার্ষিক কনফারেন্সে তিনি ইস্যুটি উত্থাপন করে বলেন, যথেষ্ট পরিমান স্টাফ না থাকার কারণে বর্তমান সার্ভিস অব্যাহত রাখতেই হিমশিম খাচ্ছে এনএইচএস ট্রাস্টগুলো। এর মধ্যে সপ্তাহে ৭ দিন সার্ভিস চালুর পাশাপাশি উইকেন্ডে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে হলে ডাক্তার সংকটের ইস্যুটি নিয়ে সরকারকে এখনই ভাবতে হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।