যুক্তরাষ্ট্রের আড়িপাতার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয়া সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের রাজনৈতিক আশ্রয়লাভের জন্য করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে।
স্নোডেনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং সরকারি সম্পত্তি তছরুপের কয়েকটি অভিযোগ এনে গ্রেপতারি পরোয়ানা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে তিনি মস্কোর শেরেমেটিয়েভো বিমানবন্দরে অনিশ্চিত গন্তব্যের অপেক্ষায় আছেন। তাকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে ওয়াশিংটন। অনুসন্ধানমূলক ওয়েবসাইট উইকিলিক্স ইতোপূর্বে এক খবরে জানিয়েছিল, স্নোডেন একযোগে ২১ টি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।এ দেশগুলোর মধ্যে ছিল ভারত, চীন, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ভেনেজুয়েলা, রাশিয়া ব্রাজিল, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কাছে করা আবেদন নিজেই প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্নোডেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস না করার জন্য স্নোডেনকে আহ্বান জানানোর পর তিনি রাশিয়ায় আশ্রয় নেয়ার আবেদন প্রত্যাহার করেন। কিন্তু অাবেদন করা অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে স্নোডেনের পছন্দের দেশ ইকুয়েডর মঙ্গলবার জানায়, স্নোডেন ইকুয়েডরের মাটিতে পদাপর্ণ না করা পর্যন্ত তারা তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বিবেচনা করতে পারছে না। নরওয়ে সেদেশে স্নোডেনের আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে।পোল্যান্ডও একই সিদ্ধান্ত দিয়েছে।আর ভারত স্নোডেনের রাজনৈতিক আশ্রয়লাভের আবেদন বিবেচনা করে দেখার কোনো কারণই নেই বলে জানিয়েছে।ফ্রান্স বলেছে তারা এমন কোনো অনুরোধই পায়নি।
ওদিকে, ফিনল্যান্ড, স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়া জানিয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ জানাতে হলে স্নোডেনকে ওইসব দেশে গিয়েই আবেদন করতে হবে।একের পর এক দেশের কাছ থেকে নেতিবাচক এ প্রতিক্রিয়ার কারণে স্নোডেনের বিকল্প পথগুলো বন্থ হয়ে যাচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (এনএসএ)’র টেলিফোন ও ইন্টারনেটে ব্যাপক আড়িপাতার ঘটনা ফাঁস করেন ৩০ বছর বয়সী স্নোডেন।এরপর তিনি হংকং চলে যান এবং সেখান থেকে পরে রাশিয়ায় পাড়ি জমান।
রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করা দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দোষারোপ করেছেন স্নোডেন।পাশাপাশি মার্কিন সরকারের আড়িপাতা ও গুপ্তচরবৃত্তির আরো তথ্য প্রকাশ করে দেয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়ার কাছে লেখা এক চিঠিতে স্নোডেন লিখেছেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে এমন তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে আমি স্বাধীন।
Leave a Reply