দুনিয়া জুড়ে ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী পাকিস্তানি ষোড়শী মালালা ইউসুফজাই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সহযোগিতা চাইলেন। বাংলাদেশের নারী শিক্ষা এবং নারী ক্ষমতায়নের প্রশংসাও করলেন অসম সাহসী এই কিশোরী। ১৩ই জুলাই শনিবার নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানি মিশনে মালালার সম্মানে দেয়া ইফতার মাহফিলে নারী অধিকারের ব্যাপারে সচেতন বিশ্বের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানালেন।
ইফতার মাহফিলে জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। এ সময় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একেএ মোমেনের পরিচিত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর আকুতি প্রকাশ করে মালালা বলেন, জঙ্গিরা বই আর কলমকেই বেশি ভয় পায়। তাই বাংলাদেশে নারী শিক্ষার যে ব্যাপক কার্যক্রম চলছে তাকে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া অংশ তথা পাকিস্তানেও বিস্তৃত করতে বাংলাদেশকে আরও জোরদার ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় ড. মোমেন তাকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান আগের দিন জাতিসংঘে তার প্রদত্ত ভাষণের জন্য। ড. মোমেনকে এ সময় জানানো হয় যে, মালালা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তা দিয়ে বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ সময় বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মালালা ফাউন্ডেশন স্কুল প্রতিষ্ঠার আগ্রহ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টোর শাল পরে এসেছিলেন মালালা এবং পাকিস্তানের নারী মুক্তির ক্ষেত্রে বেনজীরের প্রশংসাও করেছেন অকুণ্ঠ চিত্রে। মালালা বলেন, তালেবান জঙ্গিরা আমাকে মেরে সবকিছু স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। দুর্বলতা, ভয় আর আশা ভঙ্গের দিন শেষ। শক্তি আর সাহস ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। বই আর কলম বদলে দিতে পারে এ পৃথিবীকে। মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাকে অভিবাদন জানাতে শ’ শ’ পাকিস্তানি মহিলা অপেক্ষায় ছিলেন পাকিস্তান মিশনের বাইরে। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য। নিজ দেশের তরুণীকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে অনেকে আবেগাপ্লুত।
Leave a Reply