বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৭:১৩

রামাদ্বানে ফিলিস্তিনিদের পানি সরবরাহ বন্ধে অটল ইসরাইল

রামাদ্বানে ফিলিস্তিনিদের পানি সরবরাহ বন্ধে অটল ইসরাইল

শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: নিরাপদ খাবার পানি না পেয়ে দূষিত জলাধারের পানিই এখন সম্বল হয়েছে অসহায় মুসলিমদের। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতারির সামান্য পানি পাচ্ছে না তারা। পবিত্র রমজানে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের দুর্ভোগ বাড়াতে বর্বর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল।

হাজার হাজার মানুষের রোজা পালনে ব্যাঘাত ঘটাতে পশ্চিম তীরের পানির লাইন কেটে দিয়েছে একমাত্র ইহুদী দেশটি। অথচ এ সময়ে ফিলিস্তিনের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। আরব গণমাধ্যমগুলোসহ ব্রিটিশ প্রভাবশালী দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট বুধবার এ খবর দিয়েছে।

১৯৬৭ সালে ইসরাইল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং গাজা দখল করার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের পানি সরবরাহের জন্য ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময়েই ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের পানির লাইন কেটে দেয়। এর আগে গত বছরের আগস্টে পানি সরবরাহ বন্ধ করায় ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি শত শত পশু-প্রাণীও মারা গিয়েছিল।

মঙ্গলবার প্যালেস্টিনিয়ান হাইড্রোলজি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আইমান রাবি জানান, কিছু কিছু এলাকার অধিবাসীরা ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে পানি পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, এসব এলাকার জনগণ পানি সরবরাহকারী ট্রাক থেকে পানি কেনা এবং স্থানীয় জলাধার ও কুয়োর পানি পান করছেন। কিছু উপদ্রুত এলাকায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ করছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রত্যেক পরিবারকে দুই, তিন বা ১০ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় পানি সরবরাহকারী কোম্পানি অধিকৃত পশ্চিম তীরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। রমজানে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। ইসরাইলের পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেকোরত ফিলিস্তিনি শহরগুলোয় পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় জেনিন শহর, নাবলুস ও তার আশপাশের গ্রাম এবং সালফিত ও তার আশপাশের গ্রামগুলোয় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, জেনিন শহরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বাস করে। সেখানকার পানি সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। গ্রীষ্মকালের খরতাপে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় কোনো বিপর্যয় ঘটলে মেকোরত দায়ী থাকবে বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মেকোরত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা আল জাজিরার সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

জাতিসংঘের মতে, স্বাভাবিক অবস্থায় একজন সাধারণ মানুষের প্রতিদিন ন্যূনতম সাড়ে সাত লিটার পানি দরকার। কিন্তু ফিলিস্তিনের কিছু কিছু এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। সেখানকার মানুষের পানির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি হবে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ যে পানি সরবরাহ করত, তাতে পশ্চিম তীরের একজন ফিলিস্তিনি গড়ে ৬০ লিটার পানি পেতেন। যেখানে পশ্চিম তীরের একজন ইসরাইলি সেটেলারকে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ লিটার পানি সরবরাহ করা হয়।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025