গ্যালারী থেকে: মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৩ রানে হারিয়েছে তারা। মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের গড়া ৯ উইকেটে ১১৫ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ১১২ রান করে শ্রীলঙ্কা।
তবে প্রথম ৩ ম্যাচ হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বাংলাদেশের বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ওভারের শেষ বলে মাত্র ৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আয়েশা রহমান। দলের রানও তখন ৬। তবে অধিনায়ক সালমা খাতুনের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠেন শারমিন আক্তার। ষষ্ঠ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন সালমা।
তবে ৪ রানের মধ্যে সালমা ও লতা মন্ডলের (০) বিদায়ে আরেকবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কা জাগে। দলের হাল তখন ধরেন রুমানা আহমেদ। চতুর্থ উইকেটে শারমিন আক্তারের (১৮) সঙ্গে ২৩ ও সপ্তম উইকেটে ফাহিমা খাতুনের (১৪) সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়ে দলকে একশ’ পার করতে সাহায্য করেন রুমানা। এই টুর্নামেন্টে এই প্রথম শতরানের ইনিংস খেললো বাংলাদেশের মেয়েরা। আর টি-টোয়েন্টিতে এই ১১৫ রানই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
এর আগে গত বছরে এপ্রিলে ভারতের বিপক্ষে করা ১১৩ রানই ছিল মেয়েদের সর্বোচ্চ। ৩৪ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৪১ রানের কার্যকরী ও আক্রমণাত্মক ইনিংসটি খেলেন ম্যাচসেরা রুমানা। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন স্পিনার চান্দিমা গুনারত্নে ও পেসার উদেশিকা প্রাবোধানি। জবাবে ব্যাট হাতে শুরুতে হোঁচট খায় লঙ্কাও। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে হাসিনি পেরেরাকে (১) আউট করে প্রথম ধাক্কা দেন পেসার জাহানারা আলম।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে চামারি আতাপাত্তুর (১৭) সঙ্গে ৩৭ এবং তৃতীয় উইকেটে শশিকালা শ্রীবর্ধনের সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়ে বিপদ কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি জয়ের আশাও জাগিয়ে তোলেন ইয়াসোদা মেন্ডিস। ৩৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করেন মেন্ডিস। এক সময় ৫৩ বলে ৪৯ রান দরকার ছিল শ্রীলঙ্কার, হাতে ছিল ৭ উইকেট। শশিকালা শ্রীবর্ধনেও উইকেটে ছিলেন। কিন্তু পেসার পান্না ঘোষসহ বাংলাদেশের অন্যান্য বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যের ৩ রান দূরে আটকে যায় লঙ্কার ইনিংস। ৩৬ বলে ২টি চারের সাহায্যে ৩১ রান করে শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান শ্রীবর্ধনে। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার পেসার পান্না ঘোষ। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন জাহানারা, অফস্পিনার সালমা ও লেগস্পিনার রুমানা।