রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৫

ফাইনালে স্থান করে নিল ভারত

ফাইনালে স্থান করে নিল ভারত

গ্যালারী থেকে: চোকার তকমাটা এবারো ঘোচানো হলো না দ. আফ্রিকার। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হলো তাদের। শুক্রবার এই ম্যাচে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে প্রোটিয়ারা।

দ. আফ্রিকা: ১৭২/৪ (২০ ওভার)
ভারত: ১৭৬/৪ (১৯.১ ওভার)
ফল: ভারত জয়ী ৬ উইকেটে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৬ তারিখে খেলার টিকিট পেতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং দ. আফ্রিকা। টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দ. আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাটিং সূচনা করতে আসেন ডি কক এবং হাশিম আমলা। ভুবনেশ্বর কুমারের করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটের পেছনে মাহেন্দ্র সিং ধোনীর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ডি কক (৬ রান)।

এরপর হাশিম আমলা এবং ফাফ ডু প্লেসিস মিলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় আরেক ওপেনার হাশিম আমলা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে আউট হওয়ার আগে ১৬ বল খেলে চারটি চারে ২২ রান করেন। ফাফ ডু প্লেসিস এবং জেপি ডুমিনি অবিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ৭১ রানের জুটি গড়েন। ফাফ ডু প্লেসিস তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক করেন ৩৬ বলে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪১ বলে ৫টি চার আর ২টি ছয়ে ৫৮ রান করেন ডু প্লেসিস।

দলীয় ১২৯ রানে অশ্বিনের বলে লং লেগে রহিত শর্মার তালুবন্দ্বী হন এবিডি ভিলিয়ার্স (১০ রানে)। জেপি ডুমিনি এবং ডেভিড মিলার শেষ দিকে ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেছেন। দুজনে ৪৩ রানের জুটি গড়েন। ডুমিনি খেলেন হার না মানা ৪০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। ৪৫ রানের ইনিংসে ডুমিনি একটি চার ও তিনটি ছয় হাঁকান। আর ডেভিড মিলার দুই চার ও এক ছয়ে ১২ বলে করেন অপরাজিত ২৩ রান।
পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে প্রোটিয়ারা করে দুই উইকেটে ৪৪ রান। দলীয় অর্ধশতক আসে ৪৪ বলে। প্রথম ১০ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা ৬৬ রান তোলে। আর শতক আসে ৭৬ বলে। ভারতের হয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট পান। বাকী একটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার।

১৭৩ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করতে আসেন রহিত শর্মা এবং অজিঙ্কা রাহানে। জেপি ডুমিনির করা প্রথম ওভারেই দুই ওপেনার তুলে নেন ১৪ রান। দলীয় ৩৯ রানে চতুর্থ ওভারে বুরান হেনড্রিক্সের বলে মিড-অন থেকে দৌড়ে এসে ডু প্লেসিস রহিত শর্মার ক্যাচটি লুফে নিলে ভারতের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। আউট হওয়ার আগে রহিত শর্মা ১৩ বল খেলে চারটি চার আর একটি ছয়ে করেন ২৪ রান।

ওপেনিংয়ে নামা অজিঙ্কা রাহানে এবং তিন নম্বরে নামা বিরাট কোহলি ৩৮ রানের জুটি গড়েন। দশম ওভারে ওয়েন পারনেলের বলে ডিপ মিডউইকেটে দাঁড়ানো ভিলিয়ার্স অজিঙ্কা রাহানের ক্যাচটি লুফে নেন। রাহানে সাজঘরে যাবার আগে ৩০ বলে দুই চার আর এক ছয়ে করেন ৩২ রান। কোহলির সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় যুবরাজ সিং ইমরান তাহিরের বলে লং-অফে ডি ভিলিয়ার্সের তালুবন্দ্বি হন। সুরেশ রায়না হেনড্রিক্সের বলে মিড-অফে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে করেন ১০ বলে ৩টি চার আর ১টি ছয়ে ২১ রান।

বিরাট কোহলি ৩৫ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম অর্ধশতক করেন। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ৪৪ বলে ৭২ রান করেন কোহলি। মেরেছেন ৫টি চার আর ২টি ছয়। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে ভারত করে এক উইকেটে ৫৬ রান। দলীয় অর্ধশতক আসে ৩০ বলে। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ভারতীয়রা ৮০ রান তোলে। আর শতক আসে ৭৫ বলে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025