শীর্ষবিন্দু নিউজ: অবৈধ অভিবাসন কমিয়ে আনতে বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসার আগেই তিন হাজার পাউন্ড জামানত রাখার নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে ব্রিটেন। এর আগে সাবেক লেবার পার্টি সরকারও এ ধরনের একটি বন্ড ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করলেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পিছিয়ে যায়। বিক্ষোভের মুখে কানাডা সরকারের একটি চেষ্টাও কয়েক বছর আগে ভেস্তে যায়।
ব্রিটিশ হোম অফিসের ভাষায়, এই সাতটি দেশের নাগরিকরা ব্রিটিশ ভিসার ‘অপব্যবহার’ করেন বেশি। এ কারণে আপাতত এই দেশগুলোকেই পরীক্ষামূলক এই বন্ডের আওতায় আনা হচ্ছে। ব্রিটেনের হোম সেক্রেটারি টেরেসা মে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী প্রতি বছর ব্রিটেনে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ১ লাখের মধ্যে নামিয়ে আনতে চান। নতুন এই বন্ড ব্যবস্থা সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে। অবশ্য আবেদনের সঙ্গে তিন হাজার পাউন্ড জমা দিলেই ভিসার নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে না। ভিসা পেতে হলে যুক্তরাজ্যের অন্য সব শর্তও ঠিকমতো পূরণ হতে হবে। টেরেসা মে আরো বলেন, আমরা দীর্ঘমেয়াদে এমন একটি বন্ড সিস্টেম চালু করতে আগ্রহী যা মেয়াদের অতিরিক্ত সময় ব্রিটেনে অবস্থান না করতে ভ্রমণকারীদের উৎসাহিত করবে। তাছাড়া কোনো বিদেশি যদি আমাদের সরকারি সেবাগুলো গ্রহণ করে, তার ব্যয়ও উঠিয়ে আনা যাবে। ব্রিটেন সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের প্রায় ২২ লাখ ভ্রমণ ভিসা দেয়।
গত বছর ২ লাখ ৯৬ হাজার ভারতীয়, ১ লাখ ১ হাজার নাইজেরীয়, ৫৩ হাজার পাকিস্তানি, ১৪ হাজর বাংলাদেশি ও ১৪ হাজার শ্রীলঙ্কানকে ব্রিটেনে ৬ মাসের ভ্রমণ ভিসা দেয়া হয়। এর মধ্যে কতোজন ভিসার মেয়াদ শেষে দেশে ফেরেননি তার সঠিক পরিসংখ্যান ব্রিটিশ হোম অফিস প্রকাশ না করলেও কমনওয়েলথভুক্ত অশ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত এই সাতটি দেশকেই ‘ভিসার অপব্যবহারের’ জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই সাত দেশের সব ধরনের ভিসা আবেদনকারীর (স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক ভিসাসহ) কাছ থেকেই এই ‘নগদ বন্ড’ জমা রাখা হবে। এই পরীক্ষামুলক ব্যবস্থায় সাফল্য এলে তা ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও। অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিকদের ব্রিটেনে যেতে ভিসার প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়া পশ্চিমা আরো বেশ কিছু দেশের ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর হওয়ার আশঙ্কা থাকছে না।
Leave a Reply