বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সিলেট-২ (ওসমানী নগর-বিশ্বনাথ) নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রফেসর আব্দুল হান্নান বলেছেন, ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশকে একটি ইনসাফময় দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ইসলামের কোনো বিকল্প নেই।
ইসলাম সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি পর্যায়ে বিজয়ী করতে জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষকে নিয়ে কাজ করছে। আমরা চাই আল্লাহর জমিনে মানুষ ধর্ম বর্ণে নয়, মানুষ তার অধিকার পাবে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী।
দেশের তরুণ প্রজন্ম জামায়াতে ইসলামীকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চাই। তরুণ প্রজন্ম বলছে জামায়াতের কাছে দেশের মানুষের অধিকার নষ্ট হবে না। তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার লন্ডনে প্রবাসী ওসমানী নগর-বিশ্বনাথ নাগরিক ফোরাম এর উদ্যোগে আয়োজিত মত বিনিময় ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
সমাজসেবী শাহ নেছার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান সমন্ধয়ক কাজী নজমুল আহমদ ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রন্জুর যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম শাহীন, টাওয়ার হ্যামলেটের সাবেক স্পীকার কাউন্সিলর ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ, টাওয়ার হ্যামলেটের কাউন্সিলর ব্যারিস্টার মস্তাক আহমদ, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক আতিকুর রহমান জিলু।
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুর রউফ, সলিসিটর জহির আহমদ প্রবাসী সংগঠক মুহাম্মদ নুর বকস, বিশিষ্ট সাংবাদিক এনামুল হক চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা রাজু মুহাম্মদ শিবলী, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মস্তাক আহমদ, সাবেক ছাত্রনেতা বদরুজ্জামান বদর, টিভি উপস্হাপক এহিয়া আনছারী।
অধ্যাপক আব্দুল হান্নান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীকে স্মরণ করে বলেন, আমার অঞ্চলের কৃতি সন্তান ওসমানী অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। তিনি দেশকে যে ভাবে স্বাধীন করেছেন তেমনি ভাবে এগিয়ে নিতে চেয়েছেন। আমি সেই ওসমানীর এলাকার সন্তান।
তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি। শিক্ষার জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। কর্ম সংস্থানের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছি।
আমি এই গুলো করেছি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। অধ্যাপক আব্দুল হান্নান বলেন,আমার দল জামায়াতে ইসলামী আমাকে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে তাই আমাকে প্রার্থী হিসেবে আপনাদের কাছে আসতে হয়েছে। আমি সেই এলাকায় নির্বাচন করছি যে এলাকাকে বাংলাদেশের ছোট লন্ডন বলা হয় কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে ওসমানী নগর ও বিশ্বনাথের এমনও এলাকা রয়েছে যে এখন পর্যন্ত সেখানে রাস্তাঘাট না থাকায় সে সব এলাকার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আল্লাহ আমাকে আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেলেও আমি মানুষের উন্নতি জন্য কাজ করবো না পেলেও কাজ করবো।
ওসমানী নগর-বিশ্বনাথের শিক্ষা বিষয়ে বলেন, আমি আমার জীবনের বড় অংশ কাটিয়েছি সিলেট অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারের কাজে। যুগের চাহিদা মিটাতে উন্নত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত থেকেছি। বিশ্বনাথ ও ওসমানী নগরের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা সহজতর করতে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আল্লাহ আমাকে যদি বড় পরিসরে খেদমত করার সুযোগ দেন তবে একজন শিক্ষক হিসেবে এই অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে আমি অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতির কাজ করবো। নারী শিক্ষা ও তাদের কর্মমুখী করতে বাস্তব সম্মত উদ্যোগ নেয়া হবে।
অধ্যাপক আব্দুল হান্নান বলেন, প্রবাসীরা দেশের উন্নতির মূল চালিকা। জামায়াতে ইসলামীকে আল্লাহ বিজয়ী করলে আমরা প্রবাসীদের কোনো অধিকার বিনষ্ট হতে দেব না।
প্রফেসর আব্দুল হান্নান প্রবাসীদের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, এ বিষয়ে কোনো আপোষ করবো না। প্রবাসীদের ভোটের বাহিরে রেখে কি ভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি চিন্তা করেন।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের সহায়-সম্পদে কারো অন্যায় হাত পড়তে দেব না। আমি চাই আমার সম্পদ যে ভাবে নিরাপদ ঠিক তেমনি প্রবাসীদের সম্পদও হবে নিরাপদ।
বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার নওশাদ মাহফুজ ও হাসনাত চৌধুরীর নাশিদ পরিবশনা এবং বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ন আহবায়ক তালিব উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মুহিব রহমান, সলিসিটর শাহ আব্দুস সোবহান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী সিরাজ আলী, সলিসিটর আব্দুল আলীম টিপু, মুহাম্মদ আব্দুল জলি,ল মুহাম্মদ আব্দুল মালিক, ময়নুল ইসলাম চৌধুরী, আমির উদ্দিন, আনসার মিয়া, আব্দুল আহাদ, এম আর সুমন, আবুল খায়ের, কামরুল আলম, আব্দুল আলীম, আব্দুল বাসিত রফি, সাব্বির আহমদ, রাজিব আহমদ, আব্দুল্লাহ আল ফাহিম, আমিনুল ইসলাম, আনহার আলী, আল মেহেদী শাহান, মতিউর রহমান, সাহাবউদ্দিন আহমদ ও রফিকুল ইসলাম সুমন প্রমুখ।
Leave a Reply