যুক্তরাজ্যের হেনলি শহরে গত বছরের ৩ আগস্ট সংঘটিত ওই সহিংসতায় প্রায় ৩০০ জন ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। এ সময় এক বিক্ষোভে ইসলাম ধর্মের স্রষ্টার প্রতি আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে স্লোগান দেওয়ায় এক ব্যক্তিকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ আদালতের রায়ে বলা হয়, দণ্ড প্রাপ্ত ৩২ বছর বয়সী নাথান পুলের ওই স্লোগান বিক্ষোভের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছিল।
ওই দিন পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভকারী দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। সে দিন ক্যানন প্লেস, লিচফিল্ড স্ট্রিট এবং টাউন রোডসহ একাধিক স্থানে নাথান পুলের উপস্থিতি দেখা গেছে। তাকে ফোনে ঘটনার ভিডিও করা, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্কে জড়ানো এবং অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে উসকানিমূলক স্লোগান দিতে দেখা যায়।
পুলের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেল কৌতূহলবশত সেখানে গিয়েছিলেন এবং কাউকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেননি। তবে বিচারক রিচার্ড ম্যাকহোনাগে তার উপস্থিতি এবং উসকানিমূলক স্লোগানকে পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য দায়ী করেন।
ওই ঘটনা জনসমাবেশে ঘৃণা ও উসকানিমূলক আচরণের গুরুতর পরিণতি ফুটে উঠেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগ এই নীতিতে অবিচল যে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ একটি অধিকার হলেও, কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বা ঘৃণা উসকে দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে ক্রমবর্ধমান মুসলিমবিদ্বেষ নিয়ে সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ে উদ্বেগ ও ভীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মুসলিমদের, যেমন হিজাব পরিহিত নারীদের প্রভাবিত করছে, যারা জনসমাগমস্থল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের কম নিরাপদ মনে করছেন।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মুসলিমবিদ্বেষী অপরাধের সর্বোচ্চ সংখ্যক ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে আক্রমণ এবং হুমকি দেওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
Leave a Reply